আলোর দেশ ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় বাসায় চুলায় আগুন জ্বলেনা অনেকের। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতজা বেগম এমন নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েন।
এদিকে ‘আর কয়েকটা দিন থাকি বাড়ি, ফোন দিলেই পৌঁছে যাবে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতজা বেগমের খাবারের গাড়ী’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতজ বেগমের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ গরীব দুস্থ অসহায় ও শ্রমজীবীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে শুরু থেকেই।
তিনি জানান, ফোন বা মোবাইলে বার্তা পাঠালে খাবারের গাড়ী নিম্ন অায়ের শ্রমজীবীদের বাসায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে । তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সবার ন্যায্য খাবার বাড়ি বাড়ি পৌছে দিবে! কেউ যেন খাবারের অভাবে কষ্ট না পায়। এছাড়া তিনি সবাইকে বাড়ি থাকার জন্য অনুুরোধ করেন।
এছাড়া যদি কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ফোন বা কল দেয়, তার বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌছে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমার পক্ষ থেকে এই ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং করবো ইনশাআল্লাহ। আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশাবলী মেনে চলুন এবং ঘরে থাকুন।
যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য হটলাইন :
+880 1762-694601
+88027650101
এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে নিজ কর্মগুণে অনেক আগেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন ইউএনও মমতাজ বেগম। সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের এই কর্মকর্তা ভ্রম্যমান আদালত থেকে শুরু করে সরকার প্রদত্ত সবটুকু দায়িত্বই তিনি নিজের কর্তব্য মনে করে পালন করে ইতোমধ্যে প্রশংসতি হয়েছিলেন। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছেও রয়েছে তার যথেষ্ট কদর।
কোনো সমস্যা নিয়ে তার কাছে কেউ গিয়েছেন আর সেটি করার সাধ্য তার রয়েছে অথচ তিনি সেটি না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন কাউকে, এমন রেকর্ড তার নেই বলেই স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারির সাথেও তার সম্পর্কটা অত্যন্ত সুহৃদের মতো। তবে, কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত কঠোর। অবশ্য ধমকিয়ে কাজ আদায় করতে হয় না তার।
বরং প্রতিটি মানুষই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে করোনার এই দুযোর্গে রূপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে নিজেদের দায়িত্বের বাইরেও অনেক কাজ করে চলেছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মমতাজ বেগমের আন্তরিকতায়।
অন্যদিকে, করোনার দুর্যোগে অসহায় মানুষের সাহাযার্থে নিজের বেতন ও বৈশাখী উৎসব ভাতা দান করার সংবাদে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। এমন তথ্য জানার পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। তবে, তিনি প্রশ্ন শুনেই হেসে উঠে বলেন, আমার সামর্থ্য যদি এর থেকে বেশি থাকতো তবে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তা বিলিয়ে দিতাম। দেশের নাগরিক হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। তাছাড়া মানুষইতো মানুষের জন্য। মমতাজ বেগম বলেন, অনুদানের পরিমাণটা খুব বেশি নয়।
সামান্য। এক মাসের বেতন আর বৈশাখী উৎসব ভাতা মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠিয়েছি। আমার অনুরোধ থাকবে, এই পরিস্থিতিতে যার যতটুকু সমর্থ আছে তারা যেন অসহায় মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলেই মনে করি।