স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার আসামি আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আব্দুল মাজেদ মুজিববর্ষে গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের সাংসদ আলি আজম মুকুল এমপি।
সোমবার রাতে তাকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
এমপি মুকুল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আব্দুল মাজেদ দীর্ঘদিন বিভিন্ন দেশে আত্বগোপনে ছিলো। ঘৃণিত খুনির ব্যাপারে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে অনেক আগে। তিনি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যদের কে ধন্যবাদ জানান এবং খুব দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানান।
তিনি আরো বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে খুনি মাজেদের গ্রামের বাড়ি, কিন্তু কখনও তিনি এ এলাকায় আসেননি। এলাকার কেউ তাকে চিনেও না। পরিবারের অন্য সদস্যরা কখনও এলাকায় আসেনি।
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বিপথগামি কিছু সেনা সদস্যের হাতে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সদস্যরা। ভাগ্য ক্রমে বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে জান গনপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচার কাজ শুরু হয়। ২০০১ সালে বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসলে বন্ধ থাকে বিচার কার্যক্রম, পড়ে মোহাজোট ক্ষমতায় আসলে তা আবার শুরু হয়। খুনি মাজেদ গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোলা জেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।
সাংসদ আলি আজম মুকুল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে হোমকোয়ারেন্টানের নির্দেশনা মেনে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। অন্যথায় ভোলা সহ আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে খুনি মাজেদের প্রেপ্তারে উল্লাস প্রকাশ করতো। সমগ্র জাতি আজ এ দুর্যোগের সময় ও আনন্দিত ঘৃণিত খুনির গ্রেপ্তারে। এর ফলে ভোলা আজ কলঙ্ক মুক্ত হল।