মান-অভিমান
মেঘবালিকা,সেদিনের সেকথা গুলো
বেজায় রাগ করেছো।
রাগই বা কি করে বলি বলো!
হয়তো করেছিলে অভিমান,
বোধ করেছো একটু আধটু অপমান।
তা নাহলে এতবিধুর ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে!
না বুঝে রাগ করলে,কি চলে?
একি নয় তোমার ক্ষুদ্রমনার পরিচয়পত্র।
কিন্তু আমি কি এতে অভ্যস্ত, বলো?
যদি অভিমান করো,হয়তো
সে মান ভাঙানোর আছে সাধ্য।
তবে তুমি হইওনা বিরাগভাজন,
কি করে সে ভুল ভাঙাবো,নই অবগত।
হয়তো হতে হবে সেই প্রসূন,
প্রভাতফেরির অর্ঘ্য যেমন হয় পদদলিত।
ততে নেই কোন আস্ফালন বা দুঃখ,
যদি হই তোমাতে, তবে তো ধন্য।
ক্ষমা কর অধমেরে,যদি হয় পাপ
করবো প্রায়শ্চিত্ত যা বলো কিসের অপারগ।
কি দিয়ে কি বুঝে,নাকি নাবুঝেও বুঝে,
তবুও খুশি ত’বো ভুবন ভোলানো হাসিতে!
মেঘবালিকা,চোখের ভাষায় কথা,
যদি হয় না বলা কথা।
মনে মনে মিলন হয় মধুরিমা!
তবে তুমি যেনে নিও,
আমাদেরও হয়েছে আদ্যোপান্ত।
এইতো আবার বেঁকে গেলে!
এমন করলে কি চলে?
আমিতো জীবন্ত কঙ্কালতন্ত্র,
শশ্মান ঘাটের জঞ্জালতুল্য।
যদি বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ো গাঁয়ে,
তাতে কি পাপ হবে?
আছে কি কোন দৈবেঁ!
আর হলে হোক,মোরা মিশবো গঙ্গাজলে।
কবি :
ইমরান বিশ্বাস
শিক্ষার্থী,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।