স্টাফ রিপোর্টার:
মৎস সম্পদ ধ্বংসে মেতে উঠেছে ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলের অসাধু মৎসব্যবসায়ীরা। তাদের কার্যাক্রমে ধ্বংস হচ্ছে দৈনিক কোটি-কোটি ইলিশের পোনা।
৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ইলিশ, যেখানে ২০০-২৫০ টি ইলিশের পোনায় কেজি হয়। আবার যেগুলোর সাইজ কিছুটা বড় সেগুলো ৭০টাকা দরে কেজি বিক্রি করছে যা কেজিতে পরে ৪০-৪৫ টি। এভাবে ইলিশের পোনা নষ্ট করে পলিথিন ভরে ভরে বিক্রি করছে।
রবিবার সকালে ভোলা সদর থানার অন্তর্গত তুলাতুলি ঘাট, চড়ার মাথা, দাসের হাট, কাঠির মাথা সহ আরো কয়েকটি ঘাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। জানা যায় প্রশাসনকে বুড়োআঙুল দেখিয়ে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশনসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মৎস্য ব্যবসায়ীরা এভাবেই দৈনিক কয়েক কোটি ইলিশের পোনা ধ্বংস করছে।
ভোলা সদর থানার অন্তর্গত তুলাতুলি ঘাটে পোনা ইলিশের ছবি তুলতে গেলে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের সামনেই তো আমরা ঘুরে ঘুরে মাছ বেছি, এরা তো কিছু কয়না, আপনারা ছবি তুলে কি করবেন!’
যখন সরকারের নির্দেশে ইলিশ আহরনে অভিযান (মা ও ছা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ) চলছে, ঠিক তখনি জেলেপাড়ার মানুষগুলো ইলিশের সর্বনাশা করে দিচ্ছে। এদিকে মৎসসম্পদ ধ্বংস রোধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের কোন কার্যাক্রম চোখে পড়েনা, বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ সচেতন মহল।
ভোলা সদর থানার বাসিন্দা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘অবরোধ চলাকালীন সময়ে সরকার জেলে পাড়ার প্রতিটি পরিবারকে ভরনপোষণের ব্যবস্থা করে থাকে। তারপরও এভাবে ইলিশের পোনা হত্যা করলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইলিশের গল্প শোনাতে হবে। বাস্তবে তা দেখানো যাবেনা। আর যদি এখনই এই অসাধু, দেশদ্রোহী, মৎস্যসম্পদ হত্যাকারীদের লাগাম টেনে ধরা যায় তাহলে এদেশের মানুষ হবে ইলিশে-ভাতে বাঙালী।
আমি ভোলার জেলা প্রশাসক, এবং স্হানীয় নেতৃবৃন্দের নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি আপনারা অতি দ্রুত এই মৎস্য সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করুন।’
বাচ্চা ইলিশ মারার এমন ছবি তুলে ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহীম ফরাজী ফেসবুকে পোস্ট করলে কমেন্ট বক্সে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এর যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘মানুষ আসলে অমানুষ হয়ে গেছে। দেশের এই অবস্থা, তাও এরা বুঝেনা। আচ্ছা আমি এসব এলাকায় খোজ খবর নিচ্ছি।’