আলোর দেশ, ঢাকা :
পর্যায়ক্রমে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টানানো সব অবৈধ বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
কোনো ধরনের অনিয়ম ঢাকা শহরে চলবে না জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, শহরকে নোংরা করে নিজের ক্যাম্পেইন করবেন, এটা মোটেই কাম্য নয়।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এয়ারপোর্টের পূর্ব পাশে রেলক্রসিং সংলগ্ন সহকারী উপ পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় সংলগ্ন অবৈধ একটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, লাল-সবুজের দেশে নেমেই এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়েই বড় বিলবোর্ড চোখে পড়া একেবারেই বেমানান।
বিলবোর্ডটি স্থাপিত হয় ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে বিলবোর্ডটি কেউ নামাতে পারেনি। এই বিলবোর্ড অপসারণ করছি। এখান থেকে সবাই অন্তত একটু হলেও মেসেজ পাবেন যে, পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ বিলবোর্ড ঢাকা শহর থেকে সরানো হবে।
বিলবোর্ডটি অপসারণে বিভিন্ন মাধ্যম তাকে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল বলেন, এ বিলবোর্ডটি একেবারেই দৃষ্টিকটু। এখান থেকে নগরবাসী বা সিটি কর্পোরেশনের কোনোই লাভ হয় না।
যত্রতত্র এ ধরনের বিলবোর্ড থেকে লাভবান গুটি কয়েক মানুষদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি একটি অন্যায়।
সবার সামনে বিলবোর্ডটি নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই লোহার নিলাম করা হবে ও এটির ইতিহাস সমাপ্ত হবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই বিলবোর্ডটিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছবি লাগানো হয়। অনেকেই আমাকে বলেছেন বিলবোর্ডটি না নামাতে। এটা নামানো নিয়ে অনেকেই আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিলবোর্ডটি নামিয়ে ফেললাম।
মেয়র আরও বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স কালেকশনের চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যারা বহুদিন ধরে ট্যাক্স প্রদান থেকে বিরত ছিল। এ কারণে তাদের সাইনবোর্ড নামিয়ে রাখা হয়েছে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আরও বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে ডিস আর ইন্টারনেটের কোনো ঝুলন্ত তার থাকছে না। এসব তার পর্যায়ক্রমে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে।