আলোর দেশ, ঢাকা :
নানা আন্দোলন-সংগ্রমে সর্বদা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পাশে দাড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তাই এটি দেশের গুরুত্বপূর্ন ইউনিট। আসন্ন ২০ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের ভিড়ে রঙ্গিন ক্যাম্পাস।
নিয়মিত ক্যাম্পাসে মহড়া, বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে একাধিক পদপ্রত্যাশী নেতারা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। ক্যম্পাস টাইমের পরে পদপ্রত্যাশীরা মধুর ক্যান্টিন, ডাকসু ভবন কিংবা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লবিং-তদবির করতে দৌড়াচ্ছেন।
জবি ছাত্রলীগের ভাইটাল পদপ্রত্যাশী অনেকের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজী, বিভাগীয় পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এদের অনেকের অতিরিক্ত বয়স অনেকে আবার বিভিন্ন মামলার আসামিও (পরবর্তী প্রতবেদনে এদের নামসহ প্রকাশিত হবে)।
এজন্য যাচাই-বাছাই করে মানবিক, সৃজনশীল, শিক্ষার্থীবান্ধব ও ক্লিন ইমেজধারী মেধাবী ব্যক্তিদের ভাইটাল পদে নিযুক্ত করার দাবি জানান সাধারন শিক্ষার্থীরা।
আসন্ন কমিটিতে ভাইটাল পদের জন্য মরিয়া হয়ে আছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী- সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম ফরাজী, আক্তার হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ; সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক আজীজ, নাজমুল আলম, দপ্তর সম্পাদক শাহবাজ হোসেন বর্ষণ, সহ-সম্পাদক (শরিফ-সিরাজ কমিটি) নুর-ই-আলম।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী- সাবেক সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন, সৈয়দ শাকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসন মুবারক রিশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আফসার, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক (শরীফ-সিরাজ কমিটি) নাহিদ পারভেজ। এছাড়াও ভাইটাল পদ পেতে লবিং করছেন শরীফ-সিরাজ কমিটির উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সৈকতুর রহমান, সহ-সম্পাদক মোজাক্কির হোসেন সবুজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ জবি ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলনের প্রায় ছয় মাস পর ১৭ অক্টোবর তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ (সোহাগ-জাকির কমিটি)। কমিটি ঘোষণার ছয় মাসের মাথায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটি জবি ছাত্রলীগের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরবর্তীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জবি ছাত্রলীগের কমিটি আবারও স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ও ঘটনার তদন্ত চলাকালীন জবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়। এতে সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ১৯ ফেব্রুয়ারি জবি শাখার কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।