আলোর দেশ, ঢাকা :
আগামী ২৩ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মেলনকে সফল করতে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করছে সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক চয়ন ইসলাম ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।
সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দ্বীপ জেলা ভোলার কৃতিসন্তান মাহাবুবুর রহমান হীরন কে। এ উপ-কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাজসজ্জা উপ-কমিটির ২৬ নম্বর সদস্য করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (মৌখিক) নাজমুল হোসেন জুয়েলকে। এ নেতা বিএনপি’র রাজনীতি থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে যুবলীগের উপ-কমিটিতে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মী।
জানা যায়, ২০০৮ সালের আগে ছাত্রদল ও জিয়া পরিষদে রাজনীতি করে এখন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ এনে নাজমুল হোসেন জুয়েলকে ৬ নভেম্বর,২০১৯ তারিখে (রবিবার) যুবলীগের অফিস থেকে গণধোলাই দিয়ে বের করে দেন কেন্দ্রীয় নেতা গোপালগঞ্জের মোহাম্মদ আলী মিন্টু ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জুয়েলের গ্রামের বাড়ী ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়।চরফ্যাশন উপজেলায় ১০০ জনকে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। তার হাত ধরেই জুয়েল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসে।
জানা যায়, ২০০১ সালের পর বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে জুয়েল আওয়ামী পরিবারের অনেক নেতাকর্মীর বাড়ীতে নির্যাতন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু স্থানীয় এক নেতা জানান, জুয়েল ছাত্রদল করতেন ও উপজেলা জিয়া পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে ঢাকায় পালিয়ে আসে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতার সেল্টারে শুরু করে যুবলীগ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান বিবেচনা করে এই অনুপ্রবেশকারীকে যুবলীগের সাজসজ্জা উপ-কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানান তৃনমুলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে নাজমুল হোসেন জুয়েল বলেন, “৬ নভেম্বর যুবলীগের অফিসে গোপালগঞ্জের আনিস ও মিন্টুরা অন্যকে হামলা করতে গিয়ে না পেয়ে আমাকে হামলা করে। পরে তারা আমার বাসায় এশে ক্ষমা চাইলে আমি মাফ করি, মিলে যাই। আমি কোন অনুপ্রবেশকারী না। আমি ঢাকায় যুবলীগ করি। আর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জ্যাকব ভাইয়ের রাজনীতি করি। আমি তো রাজনীতি করে উপ-কমিটির সদস্য হয়েছি অনেকে ত টাকা দিয়ে হয়েছে। ”
এ বিষয়ে সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহবায়ক, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহাবুবুর রহমান হীরন বলেন, আওয়ামী লীগের কোথায়ও কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবেনা।জুয়েলের বিষয়টা প্রমান পেলে তাকে উপ-কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে।