আলোর দেশ, ঢাকা :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন কলেজ আমল থেকেই রাজনৈতিক চর্চা হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার-হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বের হয়েছে । আওয়ামী লীগের সুসময়-দুঃসময়ে এই ক্যম্পাসের ছাত্রনেতারা রাজপথে সক্রিয় ছিল। এক-এগারো সময়কালে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারাই সবচেয়ে বেশি আন্দোলন করেছে, কোর্ট প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছে। নানা হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এই ক্যাম্পাস থেকে তৈরি হয়েছে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতি শেষ করেই মহানগর দক্ষিনে বলয় তৈরি করে ফেলে নেতারা। ফলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জয়জয়কার থাকে।
এদিকে শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনে যারা আলোচিত প্রার্থী, এর অধিকাংশই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা।
বর্তমান সাধারন সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। আসন্ন কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী বলে জানা যায়।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভােকেট নজিবউল্লাহ হিরু । ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া ঢাকা বার অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ – ২ ( আড়াইহাজার ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু । তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
সুত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ। তিনিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক এফ. এম. শরীফুল ইসলাম। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। নব-নির্বাচিত বর্তমান সভাপতি কামরুল হাসান রিপনও এই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।