জবি প্রতিনিধি :
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং আল্লাহ ও রাসুল(সাঃ)-কে কটূক্তিকারী ইসকন সদস্য বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র ফাঁসি ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার যোহর নামাজের পর ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক সোসাইটি’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শতাধিক শিক্ষার্থী। এরপর মিছিলটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে এসে মিলিত হয়। এ সময় তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা ভোলার আন্দোলনকারীদের ৬ দফার সাথে একাত্মা প্রকাশ করেন। এরপর নিহতদের আত্মার মাগফেরাতে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বাবু বলেন, “ভারত কর্তৃক পরিচালিত ইসকনের ইন্ধনে গতকাল ভোলায় ইসলামপ্রিয় তৌহিদি জনতার উপর গুলি চালিয়ে ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। ফলে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আর, গতকালের হামলায় কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। অন্যথায়, তৌহিদি জনতা রাজপথে দুর্বার প্র’তিরোধ গড়ে তুলবে।”
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১০ম ব্যাচের ছাত্র সারোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা আমাদের ঈমান রক্ষার্থে আজ রাস্তায় নেমেছি। রাসুলের অপমান হলে কোনো মুসলমান স্থির থাকতে পারেনা। আল্লাহ ও রাসুলের কটূক্তিকারী ইসকন সদস্য বিপ্লব চন্দ্র শুভকে ফাঁসি দিতে হবে। নতুবা আমরা আবারো নতুন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামবো।”
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩ ব্যাচের মোজাম্মেলসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, গতকাল ভোলায় বোরহানউদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করে। এরপর স্থানীয় জনগণ বিচারের দাবিতে রাজপথে মিছিল করলে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় ৬ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়। এদিকে বিপ্লব চন্দ্র শুভ তার আইডি হ্যাক হয়েছে বলে থানায় জিডি করেন। পরে বিপ্লবকে আটক করেন বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।