আলোর দেশ ডেস্ক :
ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকদের প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাত ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মামলার একমাত্র আসামী হলেন ব্যাংক এশিয়ার দিলকুশা শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে চাকুরিচ্যুত) সিলভিয়া আক্তার রিনি (৪৩)। ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তার এফডিআর গ্রাহকেদের ঘুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করেন সৈয়দ তাহসিনুল হক। সম্প্রতি তিনি কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিলভিয়া আক্তার রিনি দিলকুশা শাখায় ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ৪৫৪টি লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুদের মোট ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৫২০ টাকা নগদ ও হিসাবে স্থানাস্তরের মধ্যে আত্মসাৎ করেন। এরমধ্যে ৪৩৭টি নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০ টাকা ও ১৭টি একাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ১ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা অতিরিক্ত তুলে নেন। এরমধ্যে একাউন্ট ট্রান্সফারের টাকা দিলকুশা শাখা আদায় করতে সক্ষম হন। কিন্তু নগদ তুলে নেওয়া অর্থ আদায় করতে পারেনি।
এজহারে আরও বলা হয়েছে, হিসাব ও লেনদেনের অর্থ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে সমুদয় অর্থ সিলভিয়া আক্তার রিনি একাই আত্মসাৎ করেছেন। বিল ভাউচার অনুমোদন কারী হিসেবে ১২ জন কর্মকর্তা স্বাক্ষর করলেও প্রস্তুতকারী ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আত্মসাতের টাকায় সিলভিয়া মোট ৮ বার বিদেশ সফর করেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে সিলভিয়া আক্তার রিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। দুদক মামলাটি দুদক আইন ও অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে রেকর্ড করেছে।