জবি প্রতিনিধি :
ওমান থেকে ঢাকায় আসেন মোঃ মনির (৩৭)। ঢাকায় এশেই মলম পার্টির খপ্পরে পরে হারান বিদেশ থেকে আনা যাবতীয় জিনিসপত্র। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুর পৌনে একটার দিকে রাজধানীর বাহাদুরশাহ্ পার্কের পাশে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) ওমানের মুসকাট শহর থেকে সকাল ১১ টায় রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান তিনি। তার পাসপোর্ট ও বিমান টিকিট থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে রাজধানীর বাহাদুরশাহ্ পার্কের পাশে এক ব্যাক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। ভদ্রলোক ভেবে তাকে জানার জন্য এক শিক্ষার্থী তার পাশে গেলেন, দেখেন মুখে কথা নাই, অজ্ঞান। পকেটে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তা খুলে দেখলেন গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলায়।
পরে ওই শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ভোলা জেলার শিক্ষার্থীদের ফোন করে অবগত করলে রায়হান কবির, মেহেদী হাসান জনি, সোহাগ রাসিফ, রবিউল ইসলাম, রাজেন, মুন্না, রায়হান মাহমুদ, শাহিন আলম, তৌফিকসহ কয়েকজন ছুটে গিয়ে ভুক্তভুগীকে উদ্ধার করে বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ বক্সে নিয়ে এশে যত্ন নেন। পরিচয়পত্র দেখে তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে সবাই মিলে বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগ করেন। কারও খোঁজ না পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে তাদের কয়েকজন মিলে ভুক্তভুগীকে সুমনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে নিজেদের উদ্যোগেই মিটফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কোতয়ালী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক শাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় জরুরিভাবে তাকে মিটফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে খোঁজ পেয়ে তার সহোদর ভাই মোঃ রাজীব আসলে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভুক্তভুগী বিদেশ থেকে আসায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মহানগর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে তার জ্ঞান ফেওে ও অবস্থার উন্নতি হয়।
ভুক্তভুগীর সহোদর ভাই মোঃ রাজীব বলেন, ঢাকার শহর কেউ কেউরে জিজ্ঞায় না। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা না দেখলে হয়তো আমার ভাই রাস্তায়ই মরে থাকতো। সমাজে ভাল মানুষ আছে বলেই সমাজটা টিকে আছে।
এদিকে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সরন আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, সদরঘাটগামী ভিক্টর পরিবহন বাসে এই ব্যাক্তি মলমপার্টির খপ্পরে পরেন। জানা যায়, পরে তাকে বাসের স্টাফরা বাহাদুরশাহ্ পার্কের পাশে নামিয়ে রাখে।
উল্লেক্ষ্য, মোঃ মনির ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া দাইমুদ্দির বাড়ির মোঃ সেরাজুল হক ও মায়ানুর বেগমের ছেলে।