আলোর দেশ ডেস্ক :
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন আদালতে আটকে আছে। ২৭ বছর পর ছাত্রদলের এ কাউন্সিলকে ঘিরে প্রার্থীরা ছুটছেন তৃণমূলের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।
সারা দেশের ১১৭টি ইউনিটের (জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়) ৫৮০ জন কাউন্সিলর এবার সরাসরি ভোটে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন।দুই শীর্ষ পদে (সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক) ২৮ জন ছাত্রনেতা ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরদিন থেকেই প্রার্থীরা কাউন্সিলদের কাছে যেতে শুরু করেন।
কিন্তু কাউন্সিলররা প্রার্থীদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে মূল্যায়ন করা শুরু করেছেন। রাজপথে কোন প্রার্থী সক্রিয় ছিলেন তাও বিচার করছেন কাউন্সিলররা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেয়া ও রাজপথের সক্রিয়তা বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক কাউন্সিলরদের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনি ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী ।
বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়েছেন সাদিকুর রহমান। ইতোমধ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় সফর দিয়ে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। তাকে কাছে পেয়ে উজ্জীবিত তৃণমূলের কাউন্সিলররা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ব্যানারে তিনি প্রতিটি প্রোগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। ২০১৭ সালের ৮ জুন রাতের আঁধারে খালেদা জিয়ার নাম সংবলিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার নামফলক ভেঙে সরিয়ে ফেলে ছাত্রলীগ। পরদিন ৯ জুন এর প্রতিবাদ জানিয়ে রফিক-বিপ্লব-সাদিকদের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করে এবং নামফলক পুনঃস্থাপনের জন্য প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদের মধ্যস্থতায় তা পুনঃস্থাপিত হয়। খালেদা জিয়ার নামফলক ভেঙে তা পুনঃস্থাপিত করার নজির কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নেই বললেই চলে। সাদিকদের মত চৌকশ নেতৃত্বের ফলেই যা সম্ভব হয়েছে।
ওয়ান ইলেভেন থেকে সক্রিয় এ নেতার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ মামলা রয়েছে। ২০টির অধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আন্দোলনে সক্রিয় থাকার জন্য সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের কাছে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। কারা নির্যাতিত এ নেতাকে নিয়ে আশাবাদী ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতাকর্মী।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে কেমন সারা পাচ্ছেন জানতে চাইল সাদিকুর রহমান সাদিক বলেন, “সারাদেশে ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছানোর জটিল কাজটি এরই মধ্যে আমি সম্পন্ন করেছি। এরই মধ্যে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। তাদের মনে আমাকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা। আমি নির্বাচিত হলে, তাদের প্রত্যাশা অনুয়াযী কাজ করবো।”
তিনি আরও বলেন,“প্রতিষ্ঠান দেখে নয়, রাজপথে কার ত্যাগ বেশি ছিল, কে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল তা বিবেচনা করেই কাউন্সিলররা ভোট দিবেন বলে আমার অনুরোধ থাকবে।”
সাদিকুর রহমান সাদিক মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার নতুন আনডার চর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাফিয়া বেগমের সন্তান। পারিবারিক সুত্রেই তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।