জবি প্রতিনিধি :
করোনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের পাশে দাড়াতে শিক্ষক সমিতির কাছে ৩ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এম এম গোলাম আদম। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ১দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ চাঁদা হিসেবে কেটে নিতে সম্মতি চান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরে আলম আবদুল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোলাম আদম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনেকেই টাকা দিবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দান করা। এই টাকা ত্রাণ তহবিলে দিলে হয়ত আমাদের প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য দুস্থ শিক্ষার্থীরা পাবেনা।
তিনি জানান, জবির শিক্ষক সমিতি সম্মিলিতভাবে কিছু করতে চাইলে গতানুগতিক পন্থা অবলম্বন না করে সময়উপযোগী এবং দূরদর্শী প্রদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে। তবে, অনুমতি সাপেক্ষে দান (টাকা) কর্তন করা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে টাকাটা দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবারের পাশে দাড়ানো যায় তাহলে হয়ত কেউ দ্বিমত রাখবেনা।
এদিকে শিক্ষকদের থেকে টাকা নিলে তিনভাবে এর খরছ করা যায় বলে ড. আদম জানান।
(১) করোনায় টিউশনি বন্ধ থাকার কারনে ঢাকায় অবস্থানরত জবির চরম অভাবগ্রস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিভাগ ভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা।
(২) করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থার সহায়ক হিসেবে কিছু ভেন্টিলেটর ক্রয় করা। আল্লাহর রহমতে প্রয়োজন না হলে সকলে অবগত আছেন যে, মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান স্যার জবি পরিবারের সদস্যদের করোনা চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অগ্রিম ব্যবস্থা করে রেখেছেন সেখানেই এসব দান করা যাবে। যা, পরবর্তীতে মানুষের চিকিৎসার কাজেই ব্যবহৃত হবে।
(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের এলাকায় কর্মরত ক্লিনারদের জন্য যতটুকু সম্ভব সেফটি সামগ্রীর (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, জুতো….ইত্যাদি) ব্যবস্থা করা। কারন, তাদের নিয়ে আমাদের ভাবনার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে এবং তারা আক্রান্ত হলে আমাদেরই রিস্ক আছে।
প্রস্তাব তিনটি শিক্ষক সমিতির ভাল মনে হলে গ্রহন করতে পারেন বলে ড. আদম মনে করেন।